“তুমি এত বেশি ঘুমাও কেন?”
শরৎচন্দ্র মজা করে বললেন,
“ঘুমের মধ্যেই সেরা গল্পের ভাবনা মাথায় আসে। তাই ঘুমানোও আমার কাজের অংশ!”
বন্ধু অবাক হয়ে বললেন,
“তাহলে তুমি আসলে সবচেয়ে বেশি কাজ করো!”
একবার তাঁর বাড়ির কাছে একজন লোক একটি কুকুরকে লাঠি দিয়ে তাড়াচ্ছিল। শরৎচন্দ্র এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে প্রশ্ন করলেন,
“তুমি এই কুকুরটাকে লাঠি দিয়ে মারছ কেন?”
লোকটি বলল, “এটা তো রাস্তার কুকুর!”
শরৎচন্দ্র হেসে বললেন,
“তবে জানো, এই রাস্তার কুকুর তার নিজের এলাকায় রাজা। অন্যের রাজ্যে ঢুকে রাজাকে বিরক্ত করা ঠিক নয়।”
আরেকদিন এক বন্ধু তাঁকে প্রশ্ন করলেন,
“তুমি এত সুন্দর গল্প লেখো, এত সময় কিভাবে পাও?”
শরৎচন্দ্র মৃদু হেসে বললেন,
“আমি কম পড়ি, বেশি দেখি। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একেকটা বই। জীবনের বই যত বেশি দেখবে, লেখার রসদও তত বেশি পাবে।”
এই মহৎ কথাসাহিত্যিকের জীবন থেকে পাওয়া এই ছোট ছোট ঘটনার প্রতিটি আমাদের জীবনেও গভীর শিক্ষা দেয়। তাঁর প্রতিভা আর জীবনদর্শন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। গত ১৬ জানুয়ারি ছিল এই মহান লেখকের প্রয়াণ দিবস। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি তাঁকে।
Leave a Reply