হাফিজুর রহমান( যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের কেশবপুরে পাঁচ বাকাবর্শি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের চুরি হওয়া ক্লপসিবল গেট ও অন্যান্য সরঞ্জামের চুরি হওয়া মালের চোর শনাক্ত হয়েছে। অথচ একটি মহল বিষয়টা ভিন্ন খাতে নেওয়া ও চোর শওকাতকে বাঁচানোর জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সরেজমিনে ও স্থানীয়দের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে পাঁচ বাকাবর্শি গ্ৰামর মৃত মহোর সরদারের ছেলে শওকাত আলী সরদার ও তার ছেলে রায়হান সরদার তাদের বাড়ির পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ক্লপসিবল
গেট সহ অন্যান্য সরঞ্জাম স্কুল থেকে চুরি করে নিয়ে যায়।
তারা প্রথমে
সওকাত আলীর মুরগির ফার্মে রাখেন, পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে প্রতিবেশী আকরাম আলীর আলম সাধু যোগে কেশবপুর গরুহাট খোলা সংলগ্ন ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে বিক্রি করার লক্ষ্যে রেখে আসেন। একপর্যায়ে জানাজানি হলে উক্ত ক্লপসিবল গেট টি হজম করতে না পেরে, ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে এ এখনো পর্যন্ত রাখা আছে।।
পাঁচ বাকাবর্শি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর নতুন ভবনের ঠিকাদার মোঃ জনাব আলী বলেন মেসার্স আলম এন্টারপ্রাইজের এই কনটেক্সট টি আমি নিয়েছি। চুরি হওয়া ক্লপসিবল গেটটির সন্ধান পাওয়া গেছে, কিন্তু কোন এক নেতা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নাও গেটটি যেখানে আছে সেখান থেকে নিয়ে যাও এইটা নিয়ে আর কোন কথা হবে না, সেই কারণে আমি কোথাও কোন যোগাযোগ করতে পারছি না।
এ বিষয়ে চোর সওকাত আলি সরদারের বাড়িতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় লুকিয়ে ছিল মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে। তবে তার বাড়িতে তার স্ত্রী ও অন্যান্য প্রতিবেশীরা স্বীকার করে বলেন তিনি ওই ক্লাপসিবল গেটটি হাত কাটা রশিদ নামে একজনের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। এ বিষয়ে যেখানে পাওয়া গেছে কলাপসিবল গেট টি সেই ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক রাহাত বলেন আমার কাছে এই গেটটি ছোট করার জন্য নিয়ে এসেছিল
সওকাত, পরবর্তীতে আমি জানতে পারি গেটটি চুরি করা তারপর থেকে গেট আমার কাছে রাখা আছে । প্রশাসন বা নির্ধারিত গেটের মুল মালিক না আসিলে আমি গেটটি দিতে পারছি না
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন বিষয়টা আমার জানা নেই তবে এখনই আমি দেখছি বা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Leave a Reply