মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের লক্ষমাত্রা অনুযায়ী কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন
স্থানে খাল পুনঃখনন/সংস্কার ৪২ কি.মি. ফোর্সমোড নলকূপ স্থাপন / পূর্নবাসন -২৮টি, এলএলপি স্কীম স্থাপন ২০টি, ভূগর্ভস্থ সেচ নালা নির্মাণ
৫.০৯ কি.মি. পাম্প ঘর নির্মাণ – ১২৪ টি, বিভিন্ন সাইটের হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার নির্মাণ – ৬৮ টি, ০.৫ কিউসেক সোলার ডাগওয়েল নির্মাণ – ১৯টি এর কাজ চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আলী আশরাফ জানান, চলতি বছরের কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠভাবে ড্রয়িং, ডিজাইন ও সিডিউল মোতাবেক চলমান রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ জুন/২০২৫ সালে শেষ হবে।
প্রকল্পের লক্ষমাত্রা অনুযায়ী সর্বমোট ৬৬০৪ হোক্টর সেচের আওতায় আসবে এবং অতিরিক্ত ১৫৭১২ মে. টন খাদ্যশস্য অতিরিক্ত উৎপাদন হবে।
আধুনিক সেচ প্রযুক্তি প্রয়োগ ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমিয়ে ভূপরিস্থ পানির নির্ভর সেচ
কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে শষ্যের নিবিড়তা (Cropping Intensity) ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।এছাড়া যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ এর সুবিধা নেই সেখানে সোলার সেচযন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় নদী ও খাল
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড(বাপাউবো) কর্তৃক পুনঃখনন করায় বিদ্যুৎ / সৌরশক্তি চালিত লো-লিফ্ট পাম্প (এল এল পি) স্থাপন করে
ভূ-পরিস্থ পানি ব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। প্রকল্প এলাকার মাঠ পর্যায়ের কৃষকের জরুরী চাহিদা ও বাস্তবতার এর প্রেক্ষিতে
বিএডিসি’র অচল/অকেজো ফোর্সমোড নলকূপ স্থাপন কার্যক্রমের চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি গভীর নলকূপের কমান্ড এরিয়া থেকে ১২ –
১৪ টি ডিজেল ও বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকূপ থেকে অনিয়ন্ত্রিত পানি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে। এতে ডিজেল ও বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়
হওয়ার পাশাপাশি সেচের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ভূ-পরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, সেচ কাজে
নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি ব্যবহার হচ্ছে, প্রকল্প এলাকায় আত্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে খাদ্য ঘাটতি পুরণ দেশের
খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
কাজের বর্তমান অগ্রগতি ৬৫%। সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, মাঠ পর্যায়ে উল্লেখিত কার্যক্রম গুলো দ্রুতগতিতে চলছে।
এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের/জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, প্রকল্পটির আরো মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন বা কৃষি ও কৃষকের
উন্নয়নের স্বার্থে এ ধরণের নতুন প্রকল্প দ্রুত গ্রহণ করা প্রয়োজন।
Leave a Reply