ভোলা প্রতিনিধি:
ইলিশা ফেরীঘাটের টিকেট মাস্টার সত্য জিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার অনিয়মের কারণে কৃষক, পরিবহন শ্রমিক এবং সাধারণ যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে কাঁচা পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে তার দুর্নীতির প্রভাব ভয়াবহ।
কৃষকদের অভিযোগ, ফেরীঘাটে কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে আটকে থাকে, অথচ ঘুষ প্রদানকারী যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সময়মতো ফেরীতে উঠতে না পারার কারণে তরমুজ, শাকসবজি ও অন্যান্য পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি যেমন হচ্ছে, তেমনই পরিবহন শ্রমিকরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
ফেরীঘাটে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট থাকলেও তা উপেক্ষা করে ঘুষ প্রদানকারী যানবাহনগুলোর পক্ষে কাজ করছেন টিকেট মাস্টার সত্য জিদ। তার বিরুদ্ধে উঠেছে অতিরিক্ত টোল আদায়, অগ্রাধিকার প্রদানের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
সত্য জিদের বিরুদ্ধে একটি নতুন অভিযোগ হলো, তিনি নিয়মিত চোরাই পথে ভারত যাতায়াত করেন। অনুমতি ছাড়াই এসব যাত্রা তার ভারতীয় কোনো সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন অনেকে। তার এ ধরনের কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
তাঁর দুর্নীতির বিষয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সহায়তায় তিনি তার ক্ষমতা ধরে রেখেছেন।
১. সত্য জিদের দুর্নীতি তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন।
২. অনিয়ম প্রমাণিত হলে দ্রুত তাকে বরখাস্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত।
৩. ফেরীঘাটে স্বচ্ছতা আনতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
৪. দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও হটলাইন চালু।
ইলিশা ফেরীঘাটে সত্য জিদের মতো কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত থাকবে। সরকারের উচিত দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া। কৃষক ও পরিবহন শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ফেরীঘাট ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
Leave a Reply