1. mh01610093622@gmail.com : dainikdakshineroporadh :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পরিবার। এশিউর গ্রুপঃ স্বপ্নের পথে শুধুই এগিয়ে চলা…….(২য় পর্ব) ইমামতি হলো পৃথিবীর সব থেকে কঠিনতম চাকরি… ঘোড়াঘাটে ডাকাত দল পুলিশের গাড়ি থামিয়ে বিপাকে, দুই ডাকাত গ্রেপ্তার আপনাদের শেখ সাদী ও কিছু কথা…..(১ম পর্ব) প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহিন আলমের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কুষ্টিয়ায় আসামি গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টায় আদালত থেকে জামিন দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। কলাপাড়ায় একটি খাল খননের অভাবে শতশত কৃষকের ভোগান্তি চরমে।। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র আহ্বায়কের সাথে বিজেপি নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পরিবার। এশিউর গ্রুপঃ স্বপ্নের পথে শুধুই এগিয়ে চলা…….(২য় পর্ব) ইমামতি হলো পৃথিবীর সব থেকে কঠিনতম চাকরি… ঘোড়াঘাটে ডাকাত দল পুলিশের গাড়ি থামিয়ে বিপাকে, দুই ডাকাত গ্রেপ্তার আপনাদের শেখ সাদী ও কিছু কথা…..(১ম পর্ব) প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহিন আলমের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কুষ্টিয়ায় আসামি গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টায় আদালত থেকে জামিন দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। কলাপাড়ায় একটি খাল খননের অভাবে শতশত কৃষকের ভোগান্তি চরমে।। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র আহ্বায়কের সাথে বিজেপি নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা।

  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩২ বার ভিউ

হাসান আহমেদ হৃদয়
ভোলা লালমোহন উপজেলার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সেবার স্থান ‘মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’। তবে এখানে চিকিৎসক ও অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় প্রাপ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে একজন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও তা শূন্য গত ৯ মাসেরও অধিক সময় ধরে।

এছাড়া অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় সিজারিয়ানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ ১০ বছরেরও বেশি সময়। যার জন্য অকেজো হয়ে পড়ে আছে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারটি। বর্তমানে ৩ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) এবং ২ জন দাই নার্সের ওপর ভরসা করেই চলছে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সেবা। তারা সাধ্যের মধ্যে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবার জন্য যাওয়া রোগীর স্বজন মো. ইব্রাহিম জানান, প্রসূতি মায়েদের সন্তান প্রসবের জন্য এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি অনেক আগ থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে সুপরিচিত। আমার অনেক নারী আত্মীয়-স্বজনদেরও এখানে প্রসব হয়েছে। তবে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে দীর্ঘদিন ধরে কোনো চিকিৎসক নেই। এ জন্য দায়িত্বরত এফডব্লিউভি ও নার্সরা প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র লিখে দেন। তারা নিজেদের স্থান থেকে সেবা নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। সত্যি বলতে চিকিৎসক না থাকায় প্রাপ্যসেবা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসক পদায়ণের দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শরিফ বলেন, আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠার পর তাকে নিয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে যাই। তবে সেখানে যাওয়ার পর জানানো হয় আমার স্ত্রীকে সিজার করাতে হবে। যার জন্য তাকে ভোলায় রেফার্ড করা হয়। অথচ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতেই সিজারের জন্য একটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। তবে সেখানে লোকবল না থাকায় বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ওই অপারেশন থিয়েটারটি নাকি বন্ধ রয়েছে। এই অপারেশন থিয়েটারটি চালু থাকলে আমার মতো অনেক সেবাপ্রত্যাশী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হতো না। তাই আমি দাবি করছি অতিদ্রুত যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখানে লোকবল পদায়ণ করে অপারেশন থিয়েটারটি চালুর উদ্যোগ নেন।লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) এবং ইনচার্জ মিরা রাণী দাস জানান, এখানে চিকিৎসক নেই। যার জন্য কর্তব্যরত অন্যান্য এফডব্লিউভি এবং দাই নার্সরা মিলে রোগীদের যথাসাধ্য সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। এছাড়া একজন অ্যানেসথেসিস্টের কারণে ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে অপারেশন থিয়েটারটি বন্ধ রয়েছে। তাই জরুরি প্রয়োজনে এখানে কোনো প্রসূতি মায়েদের সিজার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমাদের সবার প্রচেষ্টায় এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে প্রতিমাসে দেড়শতাধিক স্বাভাবিক প্রসব হয়। মায়েদের সন্তান প্রসবের পর আমাদের যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে তার ভেতর থেকে মা ও নবজাতককে সেবা দেই। তবে কখনো মা বা নবজাতকের অবস্থা খারাপ হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে একজন চিকিৎসক এবং অ্যানেসথেসিস্ট থাকলে আরো ভালো সেবা প্রদানের পাশাপাশি এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতেই সিজার করা যেতো।ভোলা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে জেলার অনেকগুলো কেন্দ্রেই লোকবলের সংকট রয়েছে। এই সংকট দূর করতে এরইমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার চিঠি পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষ লোকবল পদায়ণের উদ্যোগ নিলেই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর সংকট কেটে যাবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com