মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
হিজরি শতক ২য় হিজরির ১৭ই রমজান মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত হয় এ যুদ্ধ। রাসূল (ﷺ) তাঁর ৩১৩ জন সাহাবাদের নিয়ে মক্কার হাজারোধিক কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করেছিলেন। ইসলামের ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম সবচেয়ে বড় যুদ্ধ।
এ যুদ্ধে মোট ১৪ জন সাহাবা শহীদ হন অপর পক্ষে ৭০জন মুশরিককে হত্যা ও আরো ৭০জনকে বন্দী করা হয়। বদরের যুদ্ধে মহান আল্লাহ তাআলা সরাসরি ফেরেস্তা প্রেরণের মাধ্যমে মুসলমানদের সাহায্য করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল করিমে আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন,
'‘বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে, আল্লাহ তো তোমাদের সাহায্য করেছিলেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাতে
তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’'
(সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১২৩-১২৫)
বদর যুদ্ধ মুসলমানদের বড় প্রেরণা।
১৭ই রমজান’— মুসলিম জাহানের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে বদরের প্রান্তরে সংঘটিত হয় ঈমান ও কুফরের মুখোমুখি প্রথম সম্মুখযুদ্ধ, যেখানে কুফর, শিরক এবং জুলুমের বিরুদ্ধে তাওহিদ ও ইনসাফের বিজয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
মদিনার নবীন ইসলামী রাষ্ট্রকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র ৩১৩ জন সাহসী ও ঈমানদার মুসলমান ব্যর্থ করে দেন। আল্লাহর সরাসরি সাহায্যে তারা সমকালীন সেরা অস্ত্রে সজ্জিত ১,০০০ মুশরিক বাহিনীকে পরাজিত করেন। তাদের অন্তরে ছিল অদম্য সাহস, আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা, আর শাহাদাতের তামান্না।
আজও বদরের ৩১৩ জন বীরের মতো যদি আমাদের হৃদয়ে থাকে সাহস, ন্যায় প্রতিষ্ঠার দৃঢ় সংকল্প, আর শাহাদাতের তামান্না, তবে আল্লাহর সাহায্য অবশ্যম্ভাবী। তাওহিদ ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিজয় সুনিশ্চিত।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com