মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
তার ৩০০ কিলোমিটার দূরে ঢাকায় সেই গরুর গোশত বিক্রি হয় ৮০০ টাকা কেজিতে এমনকি মাত্র ১২৭ কি: মি: দূরেও সেই গোশতের কেজি ৬০০ টাকা।
ব্যার্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানে গরুর গোস্ত পাওয়া যায় ৬০০ রুপিতে যা কিনা বাংলাদেশী ২৩০ টাকার সমান। প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ০.৭৬ ইউএস ডলার মানে ৮০ টাকা, ভুটানে ১৬০ নুল বা ২০৭ টাকা, মিয়ানমারে ৫.৬৬ ইউএস ডলার বা ৫৬৭ টাকা।
মোটামুটি দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশে গরুর গোস্তের দাম সবচেয়ে বেশি।
এখন তো আপনারা বলবেন, এই দেশ মুসলমানদের দেশ, গরুর গোশত খায় বেশি, তাই দামও বেশি।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরুর গোশত খাওয়ার তালিকায় ভারতের অবস্থান ৫ম, ২০২২ সালে সেখানে গরুর গোশত খাওয়া হয়েছে ২৯ লক্ষ মেট্রিক টন।
এই তালিকায় পাকিস্তান আছে ৮ম অবস্থানে ২০২০ এ ওরা ১৭.৫ লক্ষ মেট্রিক টন গরুর গোশত খেয়েছে।
অদ্ভুত, ব্যাপার হচ্ছে এই দেশের মানুষের গরু গোশত খাওয়ার তেমন কোন রেকর্ড খুঁজে পেলাম না কোথাও।
সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিরবে কাঁদছে আমার প্রিয় মাতৃভূমি সোনার বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে খাবারযোগ্য মাংশের
চাহিদা ৭৬ লাখ টন
উৎপাদন ৯২ লাখ টন
উদ্বৃত্ত ১৬ লাখ টন (উৎপাদনের ১৮% )
রপ্তানী প্রায় শুন্য।
অর্থাৎ উদ্বৃত্ত ১৬ লক্ষ টন অপ্রয়োজনীয় ভোগ বিনামূল্যে বা পচে নষ্ট হওয়া।
এখানেই COST বাড়ে ১৮%।
অর্থাৎ ১৬ লাখ টন রপ্তানী / বিক্রয় হলে কেজি প্রতি মাংসের দাম হত ৬৪০ টাকা / কেজি।
আমদানি করে মাংস বিক্রি করলে ভোক্তা পাবে ৫০০ টাকা / কেজির চেয়ে কমে।
আমদানি করলে খামারিরা মারা পড়বে। কারন পশু খাদ্যের দাম বেশি।
অর্থাৎ খামারী ২৫ লাখ (ধরে নেয়া) আর পশু খাদ্যের ব্যাবসায়ী ৫০০০ হাজার মোট ২৫ লাখ ৫ হাজার অপ্রতিযোগীতামূলক মনোভাবের আর আলসে জনকে বাচিয়ে রাখতে, প্রায় ২০ কোটি বাংলাদেশিকে ৫০০ টাকার মাংস ৮০০ টাকায় কিনে খেতে হবে।
প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ৩০০ টাকা হিসেবে ৭৬ লক্ষ টন ( 300 x7600000 x 1000= 2,280,000,000,000) টাকা অর্থাৎ দুই লক্ষ আটাইশ হাজর (২২৮০০০) কোটি টাকা / প্রায় 20 বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে যা সরাসরি ঢুকে যাবে ঐ ২৫ লক্ষ খামারি আর ব্যাবসায়ির পকেটে।
যা এক এক জনের ভাগে রেগুলার মুনাফার অতিরিক্ত প্রায় ৯১২,০০০ টাকা প্রতি বছর এ।
দারুন এক মামু, বাংলাদেশের সাধারন মানুষ।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী,০১৩২৩০০২৩৭৭ সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়, ০১৬১০০৯৩৬২২
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ