মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
ঝুঁকিতে রয়েছে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জনসাধারণের উদ্যোগে কালী নদীর উপর নির্মিত কাঠের ব্রীজ। গত ২০১৭ সালে উপজেলার ত্রিবেণী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ও দিগনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামবাসীরা নিজেদের অর্থায়নে ও শ্রমে এ ব্রীজ নির্মাণ করে।
ব্রীজটি নির্মাণের পরে বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যয় হয়েছে কয়েক লক্ষাধিক টাকা। বর্তমানে ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও অর্থভাবে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, শ্রীরামপুর ও রতনপুর গ্রামের কৃষকদের নদীর দুই পাড়ে চাষাবাদ রয়েছে। ব্রীজটি নির্মাণের পরে শ্রীরামপুর ও রতনপুর গ্রামের কৃষকদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হয়। এছাড়াও ত্রিবেণী ইউনিয়ন ও দিগনগর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পদমদী, রাজনগর, বসন্তপুর, শেখপাড়া, আনন্দনগর, চরপাড়া গ্রামের মানুষদের যোগাযোগ সহজ হয়। বাড়তি কয়েক কিলোমিটারের পথ কমে যাওয়ায় সময় বেঁচে যায়। এতে করে শিক্ষার্থীরাও এ ব্রীজ ব্যবহার করে সহজে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে পারে।
তবে বর্তমানে ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকার কারণে ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত এ স্থানে স্থায়ীভাবে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে দুই পাড়ের বাসিন্দারা।
এদিকে ব্রীজ নির্মাণের পর থেকে এ স্থানটি একটি মিনি পিকনিক স্পট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এ স্থানে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। ব্রীজের এক পাড়ে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বসার জায়গা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও নামাজ ঘর তৈরী করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষরোপন করা হয়েছে।
ব্রিজ নির্মাণ ও সংস্কার কমিটির সদস্য ডাবলু বিশ্বাস বলেন, 'আমরা দুই পাড়ে বাসিন্দারা মিলে আমাদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করি। বাঁশ ও কাঠের দ্বারা ব্রিজটি নির্মাণ করায় প্রতিবছর এটি সংস্কার করার প্রয়োজন হচ্ছে। সবমিলিয়ে বরাবার খরচ করা সবার জন্য কষ্টের। আমরা এখানে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।'
শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক রবিউল হোসেন বলেন, 'ব্রিজের অভাবে ফসল বাজারে নিতে এবং ঘরে তুলতে খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কাঠের ব্রীজটি নির্মাণের পর সে ভোগান্তি কমেছিল। তবে ব্রীজ দূর্বল হয়ে পড়ায় আমাদের আবারও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। এখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মিত হলে সবাই উপকৃত হবে।'
শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী রাহাত হোসেন বলেন, আমি এ ব্রীজটি ব্যবহার করে কলেজে যাতায়াত করি।। এতে কয়েক কিলোমিটার ঘুরতে হয়না। এখানে ব্রিজ হলে ভালো হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com