বিশেষ প্রতিনিধি | দৈনিক দক্ষিনের অপরাধ সংবাদ
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চলছে নকলের এক ভয়াবহ মহোৎসব। ভালো ফলাফলের লোভে কিছু শিক্ষক, অভিভাবক এবং এক স্কুলের অফিস সহকারী পরীক্ষার্থীদের হাতে সরবরাহ করছে নকল। শুধু সাধারণ পাঠ্য নয়, কুরআন, হাদীসসহ ধর্মীয় বিষয়েও চলছে নকলের বাণিজ্য।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে “দৈনিক দক্ষিনের অপরাধ সংবাদ” পত্রিকার একটি অনুসন্ধানী টিম সরেজমিনে হাজির হয় গণিত পরীক্ষার দিন। তারা গিয়ে দেখে—পরীক্ষা শুরুর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। কিছু শিক্ষক ও অভিভাবক দ্রুত সেই প্রশ্ন নিয়ে ছুটে যান ফটোকপি দোকানে।
সেখানে প্রায় ৫০টিরও বেশি প্রশ্নের উত্তর কপি করে ফেরত আসার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা।
যখন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মাদরাসা ও স্কুল প্রধানদের জানানো হয়, তারা বলেন
“এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।”
ঘটনার খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলার সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিজেই ঘটনাস্থলে যান।
প্রমাণ পাওয়ার পর তিনি অভিযুক্ত স্কুল অফিস সহকারীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন এবং প্রশ্ন ফাঁসে ব্যবহৃত ফটোকপি দোকানগুলো সিলগালা করে দেন।
ইউএনও বলেন,
“আমি এখানে নতুন যোগ দিয়েছি। আগেই শুনেছিলাম এখানে নকলের প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু আজ থেকে আর কোনোভাবে নকল চলবে না। যেই জড়িত থাকবে, তার বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাংবাদিক বিজয় চৌধুরী ও তার টিমের সাহসী ভূমিকা
এই ঘটনার পর্দা ফাঁস করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন “দৈনিক দক্ষিনের অপরাধ সংবাদ” পত্রিকার তরুণ সাংবাদিক বিজয় চৌধুরী।
তার নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধানী টিম সময়মতো উপস্থিত থেকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় পরীক্ষার নামে কীভাবে চলছে অনিয়ম ও প্রশ্ন ফাঁসের নাটক।
বিজয় চৌধুরী ও তার টিমের সাহসিকতা, পেশাদারিত্ব এবং নিষ্ঠা এই ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। প্রশাসনের দৃষ্টি গিয়ে পড়ে ঘটনাটিতে, এবং তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
তাদের এই সাহসিকতা প্রমাণ করে—সাংবাদিকতা এখনও সত্য, ন্যায় এবং সমাজের পক্ষে লড়াইয়ের হাতিয়ার।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী,০১৩২৩০০২৩৭৭ সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়, ০১৬১০০৯৩৬২২
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ