কাজী সোহেল ;
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় "পাখিমারা খাল"টি দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় খালটি শুকিয়ে তীব্রভাবে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
এতে শতশত কৃষক বর্ষাকালীন সবজি চাষাবাদ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
বর্তমানে খালটির এক জায়গায় এক কিলোমিটার এবং ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন জায়গা শুকিয়ে থাকায় ওই স্থানে জন্মেছে ঘাষ। স্থানীয় মানুষ বর্তমানে খালটি যাতায়াতের পথ হিসেবে ব্যবহার করছে।
খালটির দৈর্ঘ্য শাখা প্রশাখা নিয়ে অন্ততঃ ২০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ প্রায় দুইশত ফুট। তবে কোন কোন জায়গায় এর কমও রয়েছে।
খালটির দুই পাড়ে শতশত পরিবারের বসবাস। এসব পরিবারের মানুষ খালের ওই পানিতে গোসল সহ গৃহস্থলী কাজ করে আসছিল। কারো কারো হাঁস পালনে খালটির পানি সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে এলাকার অন্তত ১০ টি গ্রামের শতশত কৃষকের। এসব কৃষকর কৃষি কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।
এ দশটি গ্রামে উৎপাদিত ফসল এলাকার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করছেন, ঢাকা,রাজশাহী,চট্রগ্রাম, পাবনা,বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
এ এলাকায় বৃষ্টির পানি ব্যতীত ভূর্গস্থ কোন পানির ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক নির্ভর করছে খালের পানির উপর।
পানির অভাবে বর্তমানে বোরো এবং বর্ষাকালীন সবজি চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে।
এ ব্যাপারে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গৃামের কৃকক মো.সুলতান গাজী বলেন, যখন বৃষ্টি থাকে তখনও বেশী হলে দু'হাত পানি থাকে। এতে কৃষক দু' তিন মাসের বেশী খাল থেকে পানি পাচ্ছে না। বাকী মাস গুলোতে খাল শুকিয়ে থাকে।
একই এলাকার কৃষক আবুল কালাম বলেন, মাটি,পানি নিয়েই কৃষক। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তবে বর্তমানে পাখিমারার খালের খনন নিয়ে কারোর যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই।
তিনি বলেন' আমাদের কষ্টার্জিত ফসল মানুষের জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজন। কৃষকের জীবন ধারনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে খাল খনন প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আরাফাত হোসাইন বলেন' খাল খনন আমার ডিপার্টমেন্টের কাজ না হলেও কৃষকের দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com