#প্রথমতঃ ঘড়ির সেকেন্ডের কাটা ধরে ডিউটি করতে হয় ,
এক মিনিট এদিক সেদিক হতে পারবেনা, যদি হয়েই যায়
তো একশন শুরু।
#দ্বিতীয়তঃ ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়, রাতে ঘুমাবেন তো ভিতরে টেনশন কাজ করবে ফজরে ঘুম ভাঙ্গলো কিনা, যতবার ঘুম ভাঙ্গবে ততবারই ঘড়ির দিকে তাকাবেন জামাতের টাইম হয়ে গেলো কিনা।
কোথাও যাবেন তো বার বার ঘড়ির দিকে তাকাতে হয় জামাতের টাইম হয়ে গেলো কিনা।
#তৃতীয়তঃ ইমাম সাহেব একটু ২/৩ মিনিট লেট করে আসলে কোন কারণে, তখন কিছু মুসল্লি আছে (সবাই আবার এক নয়)
ইমামের বিরুদ্ধে বলাবলি শুরু করে।
#চতুর্থতঃ হাজার মতের মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে চলতে
হয়, কারোটা না মানলেই অপমান।
#পঞ্চমঃ সব চাকুরীজীবি'দের সাপ্তাহে ২ দিন ছুটি সহ বিভিন্ন ছুটির দিনে ছুটি থাকলেও, ইমামদের মাসে ৩ দিন ছুটি নিতেই খবর হয়ে যায়।
#ষষ্ঠঃ নামাজে সবার দায়িত্ব নিয়ে দাঁড়াতে হয়, সুরা কিরাত সহ বিভিন্ন নিয়ম-কানুন একটু এদিক সেদিক হলেই সবার নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
এছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণ তো আছেই,সবার মা বাবা বউ-বাচ্ছা অসুস্থ হলেও ইমামদের মা বাবা বউ বাচ্চা যেনো অসুস্থই হয়না!
সবাই বিয়ে-শাদী সহ বিভিন্ন দাওয়াতে যেতে পারলেও ইমামদের বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান বা বিয়ে সাদি হলে এতে যাওয়ার সুযোগ হয়না,মাঝে মাঝে মনে হয় জেলখানা আর ইমামতি কাছাকাছিই।
আলহামদুলিল্লাহ্ এই খেদমত দীর্ঘ বছর ধরে দেখছি তাই আমি মনে করি একজন ইমাম পৃথিবীর সব থেকে কঠিন খিদমতটাই করে। আল্লাহ যেন সহীহ্ সালামতে সুন্দর ভাবে এই খেদমত করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com