খেজুর একটি পুষ্টিকর ফল, যা শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। প্রাচীনকাল থেকেই খেজুরের স্বাস্থ্যগুণের জন্য এটি জনপ্রিয়। বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশে রমজান মাসে ইফতারের সময় খেজুরের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই এটি খাওয়া যেতে পারে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য।
পুষ্টিগুণ
খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ), ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন (বিশেষত ভিটামিন বি৬, সি এবং ডি), খনিজ পদার্থ (ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আয়রন) এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের সার্বিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খেজুরের উপকারিতা
১. শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা
খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় এটি দ্রুত শক্তি প্রদান করে। বিশেষ করে ক্লান্তি দূর করতে এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়াতে খেজুর বেশ কার্যকর।
২. হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার আছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩. হাড়ের গঠন মজবুত করে
খেজুরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি হাড় এবং দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
৪. রক্তস্বল্পতা দূর করে
খেজুরে আয়রন রয়েছে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
৫. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৬. ত্বক উজ্জ্বল ও তরুণ রাখে
ভিটামিন সি এবং ডি থাকার কারণে খেজুর ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং বয়সের ছাপ কমায়।
৭. মানসিক স্বাস্থ্য ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমায়, ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার পরামর্শ
বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক ২-৩টি খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যকর। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উপসংহার
খেজুর শুধু একটি সুস্বাদু ফল নয়, এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও অমূল্য ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ, সবল এবং সতেজ রাখা সম্ভব। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুর যুক্ত করা অত্যন্ত উপকারী।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com