বিশেষ প্রতিবেদক:
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সূবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম খায়রুল আলম সেলিমের রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারে তার দুই মেয়ে সালমা সাদিয়া ও মরিয়ম সাদিয়ার বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, টেন্ডারবাজি, তদবির বাণিজ্য, পুলিশি হয়রানি, সরকারি জায়গা দখলসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সেলিম চেয়ারম্যান গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নোয়াখালীতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষের জমি দখল, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূমি নামমাত্র মূল্যে কিনে উচ্ছেদ, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, টেন্ডারবাজি, চাকুরীতে তদবির বাণিজ্য, এবং পুলিশের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে সেলিম চেয়ারম্যানের ছোট মেয়ে সালমা সাদিয়া, যিনি স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা, কোনো রকম উপস্থিতি ছাড়াই বছরের পর বছর বেতন নিয়েছেন। একইভাবে বড় মেয়ে মরিয়ম সাদিয়া স্থানীয় ভূমি অফিসের নায়েব হিসেবে কর্মরত থেকে অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে নোয়াখালীর পৌর বাজার এলাকায় বহুতল ভবনের মালিক হয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সেলিম চেয়ারম্যান হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। এছাড়াও তার পরিবারের সদস্যদের নামে নোয়াখালীর বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ সোনার গহনা, পে-অর্ডার ও টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এ.এইচ.এম খায়রুল আলম সেলিমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও তার মেয়ে সালমা সাদিয়া এবং মরিয়ম সাদিয়ার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে সেলিম চেয়ারম্যানের মেয়ে সালমা সাদিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দাবি করেন, তার বাড়িটি পৈতৃক সম্পত্তি। তবে, এ বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে এবং পরবর্তী সংখ্যায় বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
(বিস্তারিত আরও পরের সংখ্যায়)
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com