ফাহিম হোসেন রিজু
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আইন অমান্য করে ওভার লোড নিয়ে বেপরোয়া গতিতে উন্মুক্তভাবে বালু বহন করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ড্রাম বালুবাহী ট্রাক। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হলেও প্রতিরোধে নেই প্রশাসন।
এসব যানের চাকার আঘাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক গুলো ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এলাকাবাসীসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পরিবহন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। কেবল সড়কের ক্ষতি নয়, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
জানা যায় যায়, উপজেলার ১নং বুলাকীপুর ইউনিয়নের শালিকাদহ করতোয়া নদী থেকে পাম্প মেশিন দিয়ে উত্তলন করে তৈরী করা হয়েছে বালুর ৮ জায়গায় ৮ টি পয়েন্ট, সেখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ড্রাম ট্রাকে করে দিন রাত বালুবাহী গাড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। আর অনভিজ্ঞ ড্রাম ট্রাক চালকরা বেখেয়ালভাবেই চালাচ্ছে। সরকারি সম্পদের ক্ষতি দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও প্রতিরোধে নেই প্রশাসন।
সরেজমিনে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসন-সদস্যদের সামনে দিয়ে অবাধে চলাচল করছে বালুবাহী ড্রাম ট্রাক। কিন্তু এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে কোনো আইন প্রয়োগ হচ্ছে না।
উপজেলার হরিপুর গ্রামের জলিল মিয়া জানান, বালু বহনকারী বেপরোয়া যান চলাচলে ধুলোবালি উড়ে রাস্তার দু’পাশের ঘরবাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য।
উপজেলার বরাতীপুর গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমান জানান, আমার বাড়ি রাস্তার পাশে। আমার বাড়ির পাশ দিয়ে প্রতিদিন ড্রাম বালুবাহী ট্রাকসহ মহেন্দ্র গাড়ি দিয়ে মাটি বালু পরিবহন হয়। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, খোলা ট্রাকে বালু পরিবহনের ফলে বিদ্যালয়ে যাওয়া ও আসার সময় ট্রাক থেকে ধুলো বালু চোখে পড়ে। আর এতো স্পিডে আসে মনে হয় পুরো রাস্তা ওদের। এ যেনো দেখার মতো কেও নেই।
উপজেলার বলগাড়ী বাজারে এক দোকানদার জানান, বালু বহনকারী বেপরোয়া যান চলাচলে ধুলো-বালি উড়ে রাস্তার দু’পাশের দোকান-পাঠ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম মুটোফোনে জানান, বিষয়টি তদারকি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com