হাফিজুর রহমান (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় উন্নতি বিশ্বাস নামে এক নারীকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী প্রতারক গৌরাঙ্গেসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে উপজেলার ভেরচী পুলিশ ফাড়িসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুফলাকাঠি ইউনিয়নের (৪নং ওয়ার্ড) কালিচরণপুর প্রামের কালিদাস বিশ্বাসের স্ত্রী উন্নতি বিশ্বাসের (৪০) সাথে একই ইউনিয়নের আড়ুয়া গ্রামের পঞ্চানন রাজবংশীর ছেলে গৌরাঙ্গ রাজবংশীর আতœীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। এর সুবাদে গত কয়েক বছর ধরে গৌরাঙ্গ কাটাখালী বিলে তার নিজস্ব ঘেরের অর্ধেক শেয়ার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক দফায় উন্নতির কাছ থেকে সাড়ে আট লাখ (৮,৫০,০০০) গ্রহণ করে। উন্নতি বিশ্বাস ধার দেনা করে ওই টাকা তাকে দেয়। পরবর্তীতে ঘেরের শেয়ার না পেয়ে অসহায় ওই নারী প্রতারক গৌরাঙ্গের কাছে দেওয়া সাড়ে আট লাখ টাকা ফেরত চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি রাতে গৌরাঙ্গ কালিচরণপুর গ্রামের নির্মল বিশ্বাসের ছেলে তপন বিশ্বাস, মহেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে প্রশান্ত সরকারসহ ৭/৮ জনকে সাথে নিয়ে উন্নতির বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে তারা অসহায় ওই নারীকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে ফোলা জখম করে। এ সময় ঠেকাতে আসলে ওই প্রতারকরা তার স্বামী কালিদাস বিশ্বাস ও ছেলে পল্লদ বিশ্বাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে গেলে তারা আত্মরক্ষার্থে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উন্নতি বিশ্বাস কাঁদতে কাঁদতে আরো বলেন , বিভিন্ন সমিতি ও লোকের কাছ থেকে নিয়ে গৌরঙ্গকে সাড়ে আট লাখ টাকা দিয়েছি। সে আমার পাওনা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। পাওনাদাররা এখন তাদের টাকা ফেরত চাচ্ছে। কিভাবে সমিতি ও লোকের টাকা পরিশোধ করবো তা ভেবে পারছি না। এ অবস্থায় আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই।
উন্নতি বিশ্বাসের ছেলে প্রল্লদ বলেন, আমার মা বিভিন্ন সমিতি ও সুদে করে একাধিক লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গৌরঙ্গকে সাড়ে আট লাখ টাকা দেয়। পাওনাদাররা এখন তাদের টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দিচ্ছে। পাওনাদারের চাপ সহ্য করতে না পেরে আমার মা কয়েক বার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে। প্রতারক গৌরঙ্গের জন্য এ সব হচ্ছে।
এ বিষয়ে গৌরাঙ্গ রাজবংশী বলেন, উন্নতি বিশ্বাস আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা।
সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের (কালীচরণপুর) সাবেক ইউপি সদস্য সুজিত বলেন, উন্নতি বিভিন্ন সমিতি ও লোকের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে গৌরঙ্গকে সাড়ে আট লাখ টাকা দিয়েছে এটা সঠিক। উন্নতি যে সব সমিতি ও লোকের থেকে টাকা নিয়ে গৌরঙ্গকে দিয়েছিল তারা এখন তাদের টাকা ফেরত পেতে চাপ দিচ্ছে। পাওনাদারের চাপ সহ্য করতে না পেরে উন্নতি কয়েক বার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।
ভেরচী পুলিশ ফড়ির আইসি শামীম হোসেন বলেন, উন্নতি বিশ্বাস বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গৌরঙ্গকে দিয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছিল। সে গৌরঙ্গকে টাকা দিলেও তার কোন লিখিত প্রমান পাওয়া যায়নি। তবে উন্নতি যে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তার লিখিত প্রমান রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com