হাফিজুর রহমান(যশোর)প্রতিনিধি।
যশোরের কেশবপুরের মঈনুর বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষের কাছথেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া সাধারন মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়াই তার পেশা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকালে তাকে নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়। মঈনুর রহমানের বিরুদ্ধে ১০ টি মামলা পাওয়া গেছে। তার অধিকাংশই প্রতারণা ও চেক ডিজঅনারের মামলা। এরবাইরেও তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোজ খবর নেয়া নিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে, স্থানীয়রা জানান, তিনি চুকনগর মডেল মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। ওই কলেজে চাকরি দেয়ার নাম করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এক পর্যায়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। এছাড়া পদ্মাসেতু তৈরীর সময় ওই প্রজেক্টে চাকরি দেয়ার কথা বলে বেকার যুবকদের কাছথেকে টাকা হাতিয়েছেন। এরবাইরেও তিনি সোনার বাংলা গরুর খামার, সোনার বাংলা ঋনদান ও সমবায় সমিতি, সোনার বাংলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস নামের প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন ভাবে মানুষের কাছথেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তার প্রতিষ্ঠানে মঈনের সহযোগি ছিলেন জয়দেব। মঈন আটক হলেও জয়দেব এখনো অধরা। মঈনের সকল কাজের সহযোগী ছিলেন জয়দেব। তাকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
এদিকে, রোববার তাকে আদালতে আনা হলে আদালত চত্তরে পাওনাদাররা জড় হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কেশবপুরের শ্রীরামপুরের আল আমিন, নীমতলার তরিকুল, ভোগতীর সুলতান, চৌগাছার দশ পাখিয়ার জুয়েল হোসেন, ইমামুল, মেহেদী হাসান, নুর আলম সহ আরও অনেকে। তাদের কেউ বলেন, অধিকাংশ মানুষকেই রোমানিয়া পাঠানোর কথা বলে সাত থেকে ১০ লাখ টাকা করে হাতিয়েছেন ওই মঈনুর। এসময় মঈনুরকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন তারা। পরে পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক বাহাদুর চৌধুরী, সহসম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়,
অফিস : চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭,০১৬১০০৯৩৬২২ ইমেইলঃ dainikdakshineroporadh@gmail.com