ভোলা প্রতিনিধি:
চরফ্যাশন উপজেলা হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে এক সাংবাদিকের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি কামরুল ইসলাম নাগর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত ১২/৩/২০২৫ রাত সাড়ে আটটার সময় সংঘটিত এ হামলার ঘটনায় শশিভূষণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, হামলাকারীরা তার বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তার মোবাইল ফোনটি কামরুল ইসলামের শ্বশুরের ঘর থেকে উদ্ধার করলেও অন্যান্য মালামাল এখনো উদ্ধার হয়নি।
এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, দেশের আইজিপি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বরং হামলাকারীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সাংবাদিককে এবং তার শিশু ছেলে দিগকে প্রাণনাশের হুমকি ও বসত গড়ে আগুনে পুড়ে দিবেন বলে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন:
১. নুরুল ইসলাম
২. তুহিন
৩. কবির চৌধুরী
৪,এলানা ৫,যুবলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম নাগর,
এছাড়াও আরো ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম নাগর যুবলীগের সভাপতি বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত বিষয় খোঁজ খবর নিতে গেলে বের হয়ে আসে যুবলীগ সভাপতি কামরুল ইসলাম এর চানচলকর তথ্য
এবং উক্ত কামরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে একাদিক মামলা রয়েছে
অন্যদিকে, ন্যায়বিচার পেতে ভুক্তভোগী আগামী রবিবার ভোলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, অভিযোগ দায়েরের পরও কেন এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হয়নি? ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তদন্ত চলছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভুক্তভোগী পরিবার আরও বিপদের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে স্থানীয় গণমাধ্যম ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
Leave a Reply