খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
জিকে খাল রক্ষণাবেক্ষণের নামে চলছে হরিলুট, নামমাত্র কাজে বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা,সাংবাদিকদের তথ্য দিতে অনিহা কর্তবাবুদের। এসও খাইরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। সরোজমিনে গত ১৩-০৩-২০২৫ইং তারিখে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত মৃত্তিকাপাড়া সহ আশপাশের এলাকা গিয়ে দেখা যায়, এ অঞ্চলের চাষিদের কৃষিকাজের জন্য খননকৃত জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ) খালের পাড় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন জায়গা পাইলিং এর কাজ করা হয়েছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, এ কাজে ব্যাপক কারচুপি করছেন এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার এসও মোঃ খাইরুল ইসলাম। এ কাজ সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানিয়েছে, লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদারদের মধ্যে কাজ বন্টন হলেও ঠিকাদারদের নিকট থেকে কাজ নিজের অধিনে বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন এসও খাইরুল, সুত্র জানিয়েছে প্রতি লটে ৭৫ মিটার কাজের দর সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা হিসেবে পেয়েছেন, যে সব ঠিকাদার এসও খাইরুল এর নিকট কাজ সাব-কন্ট্রাক্ট দেননি তাদের কাজে অযাথা হয়রানি করেছে,এমনকি তাদের নিকট মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবী করেছেন নয়লে তাদের বিল আটকে হয়রানি করার হুমকি প্রদান করেছেন। আর যারা এসও খাইরুল কে সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়েছে তাদের কাজ একেবারে দায়সারা ভাবে এবং কম ৭৫ মিটারের জায়গায় ৫০মিটার করেছে।সরোজমিনে এসব বিষয়ের সত্যতা মিলেছে,উক্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুর্বাচারা শ্যামপুর স্লুইসগেট এলাকায় উচ্ছাস এন্টারপ্রাইজের কাজের পরিপূর্ণতা থাকলেও পাশের স্লোটের ৭৫মিটারের জায়গায় পাইলিং করা হয়েছে মাত্র ৫০মিটার, এ কাজের ঠিকাদার কে তার হদিস মেলেনি এবং এই কাজ একেবারেই দায়সারাভাবে করা হয়েছে। বিষয় গুলো জানতে এসও খাইরুলের সাথে তার কার্যালয়ে গিয়ে কথা বললে তিনি বিষয় টি সম্পুর্ন অস্বীকার করেন, উচ্ছাস এন্টারপ্রাইজের পাশের স্লটে কোন ঠিকাদার কাজ করছেন জানতে চাইলে তিনি ঠিকাদার মেহেদি হাসানের মোবাইল নম্বর দেন, এসও খাইরুলের সামনেই ঠিকাদার মেহেদি হাসানকে জিকে খালে পাইলিং এর কোনো কাজ করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি জিকে খালে কোনো প্রকার কাজ করছি না।এরপরে এসও খাইরুলের কাছে এ প্রকল্পের কাজের সিডিউল দেখতে চাইলে তিনি সিডিউল দেখাতে রাজি হননি। এসময় তিনি সাংবাদিকদের তথ্য অধিকার ফর্মে আবেদন করার জন্য পরামর্শ দেন।
Leave a Reply