ভোলা চরফ্যাশন প্রতিনিধি :
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরী-মুকরী রেঞ্জ কর্মকর্তা আশীস কুমার দে-এর বিরুদ্ধে বনজ সম্পদ তসরুপ, বন্যপ্রাণী শিকার এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশীস কুমার দে-এর দায়িত্বে থাকা বনাঞ্চলে নিয়মিতভাবে অবৈধ গাছ কাটা ও বন্যপ্রাণী শিকার হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এসব কার্যক্রম বন্ধের পরিবর্তে নিরব সমর্থন দিচ্ছেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, চিত্রা হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী শিকার করে পাচার করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের সহযোগিতা করছেন তিনি।
এছাড়া, তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, সরকারি সুবিধা বণ্টনের ক্ষেত্রে অনিয়ম করে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছেন এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আশীস কুমার দে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা চান, চর কুকরী-মুকরীর পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
চর কুকরী-মুকরী বাংলাদেশের অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এই চরে চিত্রা হরিণ, বানর, শিয়ালসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বসবাস। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চর কুকরী-মুকরীর পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে।
Leave a Reply