1. mh01610093622@gmail.com : dainikdakshineroporadh :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
সংবাদ শিরোনাম:

কেন্দুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে গুম বা নিখোঁজের অভিযোগ

  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
  • ৪০ বার ভিউ

মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ
জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মো. নূরুল আমিন নূরু (৪০) কে গুম বা নিখোঁজ করা হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

১৯ মার্চ, বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের উত্তর পাড়ায় ভুক্তভোগীর পরিবারটির সাথে কথা বলে নিখোঁজ বা গুমের এ তথ্য জানা যায়।

গুম হওয়া মো. নূরুল আমিন নূরুর স্ত্রী ডেইজি আক্তার (৩৫) বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একই গ্রামের বাসিন্দা এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, সবুজ মিয়া, লিলু ও সাইদুলের সাথে আমার স্বামীর বিরোধ ছিলো। তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, গত সোমবার (১৭ মার্চ) গভীর রাতে প্রতিবেশী মো. সিদ্দিক ভূঞার ছেলে রবিকুল ইসলাম আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে আমি প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করছি। নিখোঁজ নূরুর বড় ভাই সাইফুল ইসলাম, বাবা হাজী শামসুদ্দিন ও নূরুর ছেলে ইয়াসিনের সঙ্গে কথা বললে সবাই প্রায় একই কথা বলেন যে, নূরু গুম বা নিখোঁজ হওয়ার পেছনে উল্লেখিত ব্যক্তিরা জড়িত থাকতে পারেন।

নূরুকে ডেকে নিয়ে যাওয়া রবিকুল গা ঢাকা দেয়ায় জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। কথা হয় রবিকুলের স্ত্রী শিল্পী আক্তার (৩৪)’র সাথে। তিনি বলেন, ঘটনার তারিখে দিবাগত রাতে নূরু (কাকা) আমাদের বাড়িতে আসেনি। ঐ দিন রাত প্রায় আড়াটা পর্যন্ত আমার স্বামী রবিকুল, লিলু, আয়নাল, ইদ্রিস ও হাকিম ফিসারিতে কাজ করেছেন। আমি এর বেশি কিছু জানি না ।

পূর্ব শত্রুতার মামলার বাদী ও নূরুর নিখোঁজে বা গুমের অভিযুক্তদের একজন মোঃ সবুজ মিয়া বলেন, নূরু সম্পর্কে আমার ভাতিজা। তার সাথে আমার বিরোধ ও মামলা আছে ঠিকই ; কিন্তু আমার বিরুদ্ধে নিখোঁজ ও গুমের বিষয়ে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তহীন ।

তবে যার বিরুদ্ধে নূরুল আমিন নূরুর নিখোঁজ বা গুম হওয়ার সন্দেহ ও অভিযোগের তীর তীক্ষ্ণ তিনি হলেন এডভোকেট রফিকুল ইসলাম। মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগের বারবার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ নিখোঁজের স্ত্রী একটি জিডি করেছেন। এস.আই মো. শফিউল আলম (নিরস্ত্র) কে তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য থানায় উল্লেখিত জিডিতে ঘটনার বিবরণে বসত বাড়ি হতে অজান্তে হারিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। থানার জিডি নং-৮৩৯।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com