এম. ইব্রাহিম খলিল,,
ইতিকাফের অর্থ,, অবস্থান করা,,
পরিভাষায় ইতিকাফের নিয়তে কোনো মসজিদে অবস্থান করা কে ইতিকাফ বলে,,।
ইতিকাফের প্রকারভেদ,,
ইতিকাফ তিন প্রকার,,
১/ ওয়াজিব, যথা, মান্নতের ইতিকাফ,।
২/ সুন্নাত,, যথা,, রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ,,।
৩/ নফল,, বছরের যে কোন সময় ইতিকাফ করা।।,
ইতিকাফের হুকুম,,
মাসআলাঃ রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করা সমস্ত মহল্লাবাসীর উপর সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া, যদি মহল্লার একজন ইতিকাফ করে তাহলে সবার পক্ষ থেকে সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে,, আর যদি কেউ ইতিকাফ না করে তাহলে মহল্লার সমস্ত মানুষ গোনাহগার হবে,,,( ফতওয়ায়ে শামী,, ২/৪৪১- ৪৩)
মাসআলাঃ প্রতিটি মহল্লার প্রতিটি মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নাতে কেফায়া,, (ফতওয়ায়ে শামী ২/৪৩,,)
মাসআলাঃ ইতিকাফের জন্য জামে মসজিদ নামাজের জামাত হয়, এমন মসজিদে অবস্থান করা জরুরি,। তবে অবস্থান রত মসজিদে জামাতে নামাজ না হলে ইতিকাফকারী জামাতে নামাজ পড়ার জন্য অন্য মসজিদে যেতে পারবে,,, ( ফতওয়ায়ে শামী ২/৪৪০)
ইতিকাফের সর্বোত্তম জায়গা কোনটি,??
মাসআলা,, ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম জায়গা হলো বায়তুল্লাহ শরীফ,, অতপর মসজিদে নববী, অতপর মসজিদে আকসা যাকে বায়তুল মুকাদ্দাস বলা হয়,, তারপর যে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা হয়, তারপর মহল্লার যে মসজিদে বেশি মুসুল্লি হয় সে মসজিদে, ইতিকাফ করা সর্বোত্তম,,
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত,,,,
হাদিস,, ১//
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، أَنَّ نَافِعًا، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ.
অর্থ,,আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযানের শেষ দশকে ই’তিকাফ করতেন।,,( বুখারী,২৫২৫)
হাদিস নং২//حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ، ثُمَّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ.
অর্থ
নবী সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযানের শেষ দশকে ই’তিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীগণও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন।(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০২৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস,)
হাদিস নং ৩//حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ فِي كُلِّ رَمَضَانَ عَشْرَةَ أَيَّامٍ، فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ يَوْمًا.
অর্থ,, আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রমযানে দশ দিনের ই‘তিকাফ করতেন। যে বছর তিনি ইন্তিকাল করেন সে বছর তিনি বিশ দিনের ইতিকাফ করেছিলেন।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০৪৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)
হাদিস নং ৪//
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، – عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صُبَيْحٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ أَحْيَا اللَّيْلَ وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ وَجَدَّ وَشَدَّ الْمِئْزَرَ
অর্থ,,‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রমাযানের শেষ দশক শুরু হবার সাথে সাথে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সারা রাত জেগে থাকতেন ও নিজ পরিবারের সদস্যদের ঘুম থেকে জাগাতেন এবং তিনি নিজেও ‘ইবাদাতের জন্য জোর প্রস্তুতি নিতেন। (ই.ফা. ২৬৫৪, ই.সে. ২৬৫৩)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৭৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
হাদিস নং ৫//
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أُمَيَّةَ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُوسَى الْبُخَارِيُّ عَنْ عُبَيْدَةَ الْعَمِّيِّ عَنْ فَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الْمُعْتَكِفِ هُوَ يَعْكِفُ الذُّنُوبَ وَيُجْرَى لَهُ مِنْ الْحَسَنَاتِ كَعَامِلِ الْحَسَنَاتِ كُلِّهَا
অর্থ,
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফকারী সম্পর্কে বলেন, সে নিজেকে গুনাহ থেকে বিরত রাখে এবং নেককারদের সকল নেকী তার জন্য লেখা হয়,
ইবনে মাজাহ,,
Leave a Reply