সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী
আজকের সমাজে যখন সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে টিকে থাকার লড়াই করছে, তখন সেই পেশার পবিত্রতাকে কলুষিত করছে কিছু ছদ্মবেশী অপরাধী। তেমনি একজন—সজীব। বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারবে না, তার ভেতরে কী গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। সে শুধু একজন প্রতারক নয়—সে এক সংঘবদ্ধ, পরিকল্পিত অপরাধ চক্রের হোতা, যে সাংবাদিকতার ব্যানার ব্যবহার করে তরুণদের জীবন ধ্বংস করছে।
সজীব দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার নাম, লোগো ও পরিচয়পত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদের সাংবাদিক বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার প্রতারণার কৌশল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত—প্রথমে মোহ তৈরি, এরপর বিশ্বাস আদায়, তারপর ধাপে ধাপে অর্থ আদায়। এবং একবার টাকা নেওয়া হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা শুধুমাত্র প্রতারণা নয়—তা মানবতাবিরোধী।
কারণ, সজীব শুধু টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে না—সে যুবসমাজের স্বপ্ন ভাঙছে, একটি পবিত্র পেশাকে কলঙ্কিত করছে, এবং সর্বোপরি দেশের গণমাধ্যম জগতকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এত বড় কর্মকাণ্ড কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? প্রশ্ন উঠেছে—তার পিছনে কী কেউ আছেন? যায়যায়দিন পত্রিকা কর্তৃপক্ষ কী এ সম্পর্কে জানে না, না কি জেনেও নীরব?
এখনই সময় তদন্তের—এখনই সময় সত্য উদঘাটনের।
সজীবের অপরাধ যেন কোনোভাবেই ছোট করে দেখা না হয়। সে সাংবাদিকতার পরিচয় নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতারণার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অভিযোগ আছে, তার বিরুদ্ধে দাঁড়ালে ভয়-ভীতি ও হুমকিও দেয়া হয়।
এটি আর ব্যক্তিগত কোন ঘটনা নয়—এটি একটি জাতীয় ইস্যু। সজীব এখন সাংবাদিকতার ঘাড়ে বসা এক পরজীবী, যে চুষে নিচ্ছে বিশ্বাস, নীতি, এবং ন্যায়বিচারের চেতনাকে।
জনগণের দাবির ভাষা একটাই—সজীবকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, তার পেছনে থাকা মদতদাতাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে, এবং এই ধরনের প্রতারণা রুখতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
না হলে, একদিন মানুষ সত্যিকারের সাংবাদিকদের দিকেও আঙুল তুলবে।
Leave a Reply