মোঃ তুহিন দেওয়ান তজুমদ্দিন উপজেলা।
সংগঠনের বক্তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবি জানান।
হাসাননগর ইউনিয়নের খাসমহল বাজারে বিকেল ৫ টায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হাসান নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র জনতা, আলেম সমাজ ও ছোট বড় সর্বস্তরের জনগণ এই ব্যানারে মানববন্ধন ও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, হাসান নগর রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাও: বশিরউল্যাহ, দেবীপুর ইসলামিয়া ফাজিল (বি,এ)মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মোঃবিল্লাল মোল্লা, রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক অলিউল্লাহ জুয়েল, শিক্ষক ও খতিব খাসমহল দক্ষিন মাথা জামে মসজিদ-মাওলানা মাকসুদুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
বক্তারা বলেন, ধর্ষক ওমর কাজী ও তার সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। দেশে এত ধর্ষণ হচ্ছে কিন্তু অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না। পুলিশ কি করে? প্রশ্ন তুলে বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে ধর্ষক এবং তার সাথে সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক। তা না হলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।
আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার ভেতরে ধর্ষক ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর কর্মসূচি এমনকি বোরহানউদ্দিন থানা ঘেরাও করার হুশিয়ারী দেন।
জানা গেছে, ভিকটিম শিক্ষার্থী নিজ বাসার পাশে টয়লেটে গেলে ধর্ষণ করে ওমর কাজী।
অভিযুক্ত ওমর কাজী ছাত্রলীগ নেতা হচ্ছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর কাজী।
শুক্রবার রাত এগারোটার দিকে হাসান নগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে ভুক্তভোগীর নিজ ঘরের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওমর কাজী উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের শাহজান কাজী বাড়ীর বশির কাজীর ছেলে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই।
ভুক্তভোগী দাখিল পরীক্ষার্থী জানান, আমার এসএসসি/ দাখিল পরীক্ষা একটা শেষ হয়েছে বাকি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, রাত ১১ টার দিকে ঘরের পাশে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে গেলে আগ থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল ছাত্রলীগ নেতা ও ধর্ষক ওমর কাজী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখ চেপে বাগানের ভিতরের দিকে নিলে চিৎকার চেচামেচি করলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর মা অভিযোগে জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে ঘরে এসে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। রাতেই এ ঘটনা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আমাকেও (মা’কে) গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগও ওঠে ধর্ষকের বিরুদ্ধে। পরে চিৎকার চেচামেচির এক পর্যায় ধর্ষক ওমর কাজীকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করলে, ছিটকে চলে যায়।
শিক্ষার্থীর বড় ভাই জানান, আমার ছোট বোন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে গেলে ধর্ষণের শিকার হন।
বাবা ডেকেও ছাত্রলীগের ধর্ষেণের লালসা থেকে রক্ষা পায়নি আমার বোনটি।
অসুস্থ শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের ডা. তায়বুর রহমান জানান, সকল ধরনের চিকিৎসা আমরা দেই। পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষ করে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে রোগীর অবস্থা এখন আশংকা মুক্ত।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান জানান, পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। মামলা হয়েছে, আসামি গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান।
Leave a Reply