মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি বিতর্কিত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ দাবি করে এই কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি ত্যাগী নেতাকর্মীরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের এনএস রোড সংলগ্ন কারামায় চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বশিরুল আলম চাঁদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার, আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, মিরাজুল ইসলাম রিন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীমুল হাসান অপুসহ বিএনপির সাবেক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বিন্দু। এ সময় বক্তারা বলেন আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনসহ নানা কারণে বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিতর্কিত হয়ে পড়ার পাশাপাশি এই কমিটির মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তাই এই কমিটি বাতিল করে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি দেয়ার আহ্বান জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রিয় কুষ্টিয়ার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াসহ সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা সংগ্রামী সালাম গ্রহণ করবেন। আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমরা কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ত্যাগী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাইতেছি যে, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির দুই সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়িক কমিটি ৪ নভেম্বর ২০২৪ অনুমোদিত হয়। আমাদের সকলের প্রত্যাশা ছিল অনুমোদিত কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ত্যাগী, পরীক্ষিত ও শেখ হাসিনার ১৬ বছরে কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন করবেন। কিন্তু গত ৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেই কমিটিতে আমরা দেখতে পেলাম পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটিতে দীর্ঘ ১৬ বছর যারা আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যাদের যোগ্যতা রয়েছে ও যাদের নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে মাইনাস করা হয়েছে। পক্ষান্তরে ওই কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য পদে যারা স্থান পেয়েছেন তাদের অধিকাংশই আহবায়ক ও সদস্য সচিবের একান্ত আস্থাভাজন ও অনুগত যাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিগত আওয়ামী সরকারের সাথে আতাতের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
Leave a Reply