ফাহিম হোসেন রিজু
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছেন বালু খেকোরা। উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দৈনন্দিন উত্তলন করছেন লাখ লাখ টাকার বালু । উপজেলা চত্বর থেকে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ দুরে উপজেলার ৩ সিংড়া ইউনিয়ানের ভর্ন্যাপাড়া এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনের পর দিন উঠছে বালু। গ্রামের সড়কগুলোতে দাফিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যানবাহন তা দেখেও না দেখার ভান উপজেলা প্রশাসনের। সরকারি রাজস্ব কর ফাকি দিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাপটে চলছে জমজমাট বালুর ব্যবসা।
বৃহস্পতিবার সরজমিনে কি দেখা যায়, করতোয়া নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে বালু উত্তোলন করেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বিএনপি নেতাদের দাপট খাটিয়ে বালু উত্তোলন করেন কয়েকটি চক্র। ভরা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে, আবার শুকনো নদীর চর কেটে চলে বালু উত্তোলনের এই মহোৎসব। বালু উত্তোলনের এসব পয়েন্টে উচু পাহাড় বানিয়ে রাখা হয় উত্তোলন করা বালু।
স্থানীয়দের দাবি, প্রতিদিন বালু ভর্তি ট্রাক্টর যাতায়াতের ফলে রাস্তায় বেহালদশা দেখা দিয়েছে। ভেঙ্গে যাচ্ছে মাটি দিয়ে ভরাট করা রাস্তা। পাকা রাস্তা গুলোও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। আগামী বর্ষা মৌসুমে মাটি দিয়ে ভরাট করা এসব রাস্তা যাতায়াতের জন্য একেবারে অনুপযোগী হয়ে যাবে। ভোগান্তিতে পড়তে হবে নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ। এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ দিলে প্রাণ নাসের হুমকি দেয় বালু মহলের লোকজন।
অনেক সময় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের কথা আগেই জেনে যায় বালু উত্তোলন করা চক্রের সদস্যরা। নামে বেনামে অনেকে আবার প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়েই টাকা ঢুকায় নিজেদের পকেটে। এসব পয়েন্টে মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। চক্রের মূল সদস্যদেরকে আটক করতে না পারলেও, সেখানে থাকা বালু ভর্তি ট্রাক্টর জব্দ করে প্রশাসন। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদণ্ড অথবা জেল প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি সত্য এবং আমরা প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করছি। তবে সমস্যা হলো আমরা তাদের বালু পয়েন্টে পৌঁছার আগেই তাদের কাছে খবর চলে যায় এবং তারা পালিয়ে যায়। তবে এ কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply