পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
হিজাব না খোলায় ট্যাগগ অফিসার ৪ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) হাদিস পরীক্ষার দিন বাউফল পৌর শহরের ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, এ বছর বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ওই মাদ্রাসাসহগ গোসিংগা ছালেহিয়া মাদ্রাসা, গোসিংগা রশিদিয়া মাদ্রাসা,দাশপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও চন্দ্রপাড়া ঢালী আছিয়া খাতুন দাখিল মাদ্রাসার মোট ১৭২ পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্প কর্মকর্তা তুরাল প্রামাণিক।
বুধবার হাদিস পরীক্ষা চলাকালীন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই ট্যাগ অফিসার পরীক্ষা কেন্দ্রের উত্তর পাশের ভবনের দোতলায় পশ্চিম পাশের কক্ষে ঢুকে সব পরীক্ষার্থীকে হিজাব খোলার নির্দেশ দেন। এ সময় ৪ জন পরীক্ষার্থী হিজাব না খোলায় তাদের উত্তরপত্র নিয়ে যান। এর মধ্যে এক পরীক্ষার্থী উচ্চস্বরে কান্না শুরু করলে কিছু সময় পর তার উত্তরপত্র ফেরত দেওয়া হয়। অন্য তিন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র ফেরত দেওয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী জানায়,এক ম্যাজিস্ট্রেট (ট্যাগ অফিসার) রুমের ভেতর ঢুকে সব পরীক্ষার্থীকে হিজাব খুলতে বাধ্য করেন। আমিসহ ৪ জন হিজাব না খোলায় তিনি আমাদের উত্তরপত্র নিয়ে যান। এক পরীক্ষার্থী উচ্চস্বরে কান্না শুরু করলে তার উত্তরপত্র ফেরত দেওয়া হয়। আমিসহ বাকি তিনজনের উত্তরপত্র ফেরত দেওয়া হয়নি। আমি ৮০ মার্কের উত্তর দিয়েছি।
এ বিষয়ে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজিরুল হক বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হাদিস পরীক্ষার সময় কোনো ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন না। তবে ট্যাগ অফিসার হিসেবে তুরাল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসার তুরাল প্রামাণিক বলেন, আমি কোনো পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নিইনি। হিজাব খোলার প্রশ্নই আসে না। তবে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কয়েক পরীক্ষার্থীর হিজাব খুলতে বলেছেন- তারা ভুয়া পরীক্ষার্থী কিনা তা যাচাই করার জন্য।
Leave a Reply