নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিনিয়তই নানা ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে অনেক কিছুই সাধারণ মানুষের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে একটি গুরুতর ইস্যু—রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ।
বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে কাউকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধ্য করে যোগদান করিয়েছে। পরে সেই ব্যক্তিই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমর্থক বা কর্মী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন—অনেকেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন।
এখন এই বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত এ নিয়ে চলছে হট্টগোল। অনেকেই বলছেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বড় বড় নেতাদের এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। সাধারণ জনগণের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি না করে, তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা দরকার।
একটি সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন রাজনৈতিক স্বার্থে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করা হয়, তখন সেটি দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কঠোর হতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে সুস্থ ও স্বচ্ছ রাখতে হলে সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি। ভোটের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ও নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সব স্তর থেকে সচেতনতার প্রয়োজন।
দেশের সাধারণ জনগণ চায়, রাজনীতিতে জিম্মি পরিস্থিতির অবসান ঘটুক। যারা সত্যিকারের গণতন্ত্র ও দেশপ্রেমে বিশ্বাসী, তাদের উচিত রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের দিকে নজর দেওয়া।
বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের এখনই ভাবতে হবে, তারা কি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, নাকি শুধু ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়? কারণ জনগণের আস্থা না থাকলে, কোনো সরকারই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।
দেশ ও জাতির স্বার্থে, সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সচেতন হওয়া জরুরি। এখনই সময়, বিভক্তি ভুলে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার!
Leave a Reply