নিজস্ব প্রতিবেদক
শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, খোলা আকাশ, আর মনোরম পরিবেশ—এমন আবহে পিকনিকের আনন্দ যেন আরও বেড়ে যায়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন পিকনিকের মৌসুম চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের দল পছন্দের স্পট বেছে নিয়ে আয়োজন করছে নানা রকম আনন্দময় পিকনিক।
পিকনিক স্পটগুলোতে ব্যস্ততা
রাজধানী ঢাকার অদূরে গাজীপুর, মাধবকুণ্ড, কক্সবাজার, সোনারগাঁসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় স্থানে পিকনিকের ঢল নেমেছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। ঢাকার কাছের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, নুহাশ পল্লী ও রিসোর্টগুলোতেও পিকনিকের জন্য প্রচুর বুকিং নেওয়া হচ্ছে।
একটি স্কুলের শিক্ষার্থী রাফি জানায়, “পড়াশোনার চাপের পর বন্ধুদের সঙ্গে এমন পিকনিক সত্যিই অনেক মজার। প্রকৃতির মাঝে কাটানো সময় আমাদের ক্লান্তি দূর করে দেয়।”
নানা আয়োজনে পিকনিকের আনন্দ
পিকনিক মানেই শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লাঠিখেলা, রশি টানাটানি, ফুটবল, গান-বাজনা, নাচ, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ নানা রকম আয়োজন করা হয়।
ঢাকার একটি অফিসের কর্মকর্তা জানালেন, “বছরের এই সময়টা আমরা সবার সঙ্গে মিলে আনন্দ করি। খেলাধুলা, গানের আসর আর সুস্বাদু খাবার—সব মিলিয়ে পিকনিক আমাদের অফিসের সবার জন্য বিশেষ দিন।”
বাজারে পিকনিক সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি
শীতের পিকনিক উপলক্ষে বাজারে মাংস, সবজি, ভাড়া গাড়ি ও রান্নার উপকরণের চাহিদা বেড়েছে। কসাই, বাবুর্চি ও ক্যাটারিং সার্ভিসেরও ব্যস্ততা বেড়েছে।
একজন বাবুর্চি বললেন, “শীতকাল আমাদের জন্য সিজনের সময়। পিকনিকে খিচুড়ি, বিরিয়ানি, কাবাবের প্রচুর অর্ডার পাই।”
পরিবেশবান্ধব পিকনিকের আহ্বান
তবে পিকনিকের পর অনেক স্থানে ময়লা-আবর্জনার সমস্যা দেখা দেয়। পরিবেশবিদরা বলছেন, পিকনিক শেষে জায়গাটি পরিষ্কার রাখা জরুরি।
শীতের পিকনিক মানেই নির্মল বিনোদন আর নতুন উদ্দীপনা। আনন্দময় এসব আয়োজন মানুষের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে এবং কর্মব্যস্ত জীবনে একটুখানি স্বস্তি নিয়ে আসে।
Leave a Reply