বিশেষ প্রতিবেদন
ফেনীর অন্যতম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্টার লাইনকে রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাফর। বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করার অভিযোগ উঠলেও কেউ সরাসরি আওয়াজ তুলছে না।
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার দায়িত্ব নিয়েছেন এডভোকেট শাহজাহান সাজু। তবে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও তিনি এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ৪ আগস্ট ছাত্র হত্যার ঘটনায় তাকে মূল ইন্ধনদাতা বলা হলেও তিনি এখনো কোনো মামলার আসামি হননি। অথচ তার সঙ্গে থাকা অনেকেই মামলার আসামি হয়ে গেছেন।
ফেনীর মানুষের জন্য তার কী অবদান রয়েছে, সেই প্রশ্ন তুললেও তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলছে না। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক মহলে তার দাপট স্পষ্ট। কেউ কি সত্যিই অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন? নাকি ছাত্র হত্যার পেছনের কারিগরদের আড়াল করা হচ্ছে?
ফেনীর সাবেক মেয়র ও স্টার লাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধেও ভয়াবহ অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলায় তার নাম ১০ নম্বর আসামি হিসেবে আছে। তা সত্ত্বেও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তার ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
ফেনীর এসপি ও ডিসি কি করছেন? প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
ফেনীর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের অস্থিরতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গভীর জলের বড় মাছেরা এখনো ধরা পড়েনি। তবে পরিস্থিতি যে কোনো সময় বদলে যেতে পারে। খুব শিগগিরই ফেনীর রাজনীতিতে নতুন মোড় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে? প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ কী সিদ্ধান্ত নেবে? সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
Leave a Reply