ইয়াসমিন বেগম :
জীবনে যখন ঝড় উঠে, অন্ধকার ঘনিয়ে আসে, যখন মনে হয় সবকিছু শেষ, তখন মানুষ কোথায় যায়? কার কাছে দৌড়ে যায়? যদি তুমি মানুষকে ধরতে চাও, তারা তোমাকে দূরে ঠেলে দেবে। যদি দুনিয়ার কাছে হাত পাতো, দুনিয়া তোমাকে ফিরিয়ে দেবে।
কিন্তু একজন আছেন, যিনি কখনো ফিরিয়ে দেন না, যিনি তোমার ডাকে কখনো ক্লান্ত হন না, তিনি আল্লাহ।
তাই ওযু করো, দুই রাকাত নামাজ পড়ো, আলো নিভিয়ে দাও, চোখ বন্ধ করো। মনে করো, আল্লাহ তোমার সামনে আছেন, কল্পনায় আল্লাহকে নিজের সামনে আনো। ভাবো, আল্লাহ তোমার দিকে তাকিয়ে আছেন, তোমার কষ্ট দেখছেন। তোমার কান্না দেখছেন, তোমার বুকের চাপা কষ্ট অনুভব করছেন। নামাজ শেষে জায়নামাজে পড়ে যাও, সিজদায় নিজেকে বিলীন করে দাও!
# কাঁদো! বুক ফেটে কান্না করো! নিজের সমস্ত কষ্ট, দুঃখ, লাঞ্ছনা, ব্যথা, সব আল্লাহর কাছে উজাড় করে দাও।
#কাউকে বলো না, দুনিয়ার কাছে কেঁদো না, মানুষকে জানিয়েও লাভ নেই, আল্লাহই একমাত্র তোমার কান্নার যোগ্য।
শিশুর মতো কাঁদো, ঠিক যেমন ছোটবেলায় মা-বাবার কাছে কিছু চাইতে গেলে কাঁদতে, আল্লাহ তো তোমার মায়ের চেয়েও দয়ালু, তোমার বাবার চেয়েও উদার! যদি মা-বাবা তোমার কান্নায় নরম হয়ে যেত, তাহলে আল্লাহ কি তোমার ডাকে সাড়া দেবেন না।
জেনে রাখো।
# যে সুখে আল্লাহকে ভুলে যায়, দুঃখে তার কান্না কবুল হয় না।
যে দুঃখে আল্লাহর কাছে কাঁদে, সুখেও সে আল্লাহর রহমতে সিক্ত হয়।
তাই শুধু দুঃখে নয়, আনন্দেও সিজদায় যাও।
যখন কিছু পাবে, যখন সম্মানিত হবে, যখন স্বপ্ন পূরণ হবে, তখন আল্লাহকে ভুলে যেও না! শুকরিয়া আদায় করো, সিজদায় মুখ গাঁথো, কাঁদো, বলো।
হে আল্লাহ-তুমি আমায় এত দিয়েছো, আমি তোমার শুকরিয়া আদায় করতে পারব না।
সিজদা হলো সেই দরজা, যেখানে কান্না একরকম থাকে না।
সুখের কান্না: শুকরিয়ার সিজদা!
দুঃখের কান্না: ফরিয়াদের সিজদা।
গুনাহের কান্না-তওবার সিজদা।
#সিজদার মধ্যে যখন তোমার চোখের পানি ঝরবে, তখন আসমানের দরজাও তোমার জন্য খুলে যাবে।
তুমি সিজদায় পড়ো, দেখবে আল্লাহ তোমার সব দরজা খুলে দেবে।
সিজদায় কান্না করো, আল্লাহকে রাজি করো, দেখবে দুনিয়া তোমার পায়ে লুটিয়ে পড়বে।
Leave a Reply