নিজস্ব প্রতিবেদন :
ঢাকা: যানজট, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অপরাধপ্রবণতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হলে রাজধানী ঢাকার ৯০টি ওয়ার্ডে সৎ, নিরপেক্ষ ও দেশপ্রেমিক কাউন্সিলর নির্বাচন করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক দলের প্রতীক ছাড়া, জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে যারা নির্বাচনে আসবেন—এমন নেতৃত্বই পারে নগরীর চেহারা বদলে দিতে।
নগরবাসী এমন কাউন্সিলর চান, যারা মাস্তান বাহিনী পোষেন না, যাদের কাছে জনগণ সহজে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারবেন এবং যারা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন। বিশেষ করে, সাপ্তাহিক গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের অভিযোগ শুনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন নাগরিক সমাজ।
বিশ্লেষকদের মতে, ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ। রাস্তার দুরবস্থা, জলাবদ্ধতা, অপরাধপ্রবণ এলাকা, কিশোর গ্যাং ও মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জনবান্ধব কাউন্সিলরদের প্রয়োজন।
তবে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সহযোগিতা অপরিহার্য। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নমুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং নির্বাচন কমিশনের কঠোর ভূমিকা দরকার বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।
সুশাসন নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের দাবি তুলেছে নাগরিকরা। বিশেষ করে, দুর্বৃত্তদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আয়োজন এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Leave a Reply