মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুষ্টিয়ায় এবছর ভুট্টা চাষে ফলনও ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা। অর্থকরী ফসল হওয়ায় ভুট্টা চাষ করে আর্থিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন তারা। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল থেকে সরজমিন ঘুরে দেখা যায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টার ফলনও ভালো হবে এমন প্রত্যাশা তাদের। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে কৃষকদের খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর ফলন হয় প্রতিবিঘা জমিতে ৪৫ থেকে ৫০ মণ পর্যন্ত। কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি ফলন হতে দেখা যায়। ভুট্টা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা আগামীতে ভুট্টা চাষ আরও বৃদ্ধি ঘটাবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম বলেন ভুট্টা চাষে কম পরিশ্রম ও অধিক লাভ৷ এই ফসল চাষ লাভ জনক হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে ভুট্টার চাষ করবেন। আবার ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে ভুট্টা ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে তারাও লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে কৃষকদের প্রণোদনা প্রদান ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকেন কৃষি বিভাগ বলে জানিয়েছেন তিনি। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিলে কৃষিক্ষেত্র আরও সমৃদ্ধ হবে এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। কৃষি বিভাগের প্রণোদনাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়ম মেনে চাষ করায় ফলনও হবে অতীতের যেকোনো বারের তুলনায় অনেক বেশি। অন্যদিকে দাম ভালো থাকায় লাভের মুখ দেখার আশা করছেন অর্থকরী এ ফসল চাষে সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা। আর্থিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হওয়ায় আগামীতে এই ফসলের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। স্থানীয় চর জগন্নাথপুরের হাসান শেখ নামে এক ভুট্টাচাষি জানান, অতীতে ভুট্টার চাষ না করলেও কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই ফসলের চাষ শুরু করি। কম খরচ, অল্প খাটুনি এবং রোগবালাই কম হওয়ায় অন্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে বেশি লাভ হচ্ছে। দাম ভালো এবং প্রণোদনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভুট্টার এমন আবাদ বাড়ছে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
Leave a Reply